Forex কি?
Forex হলো ফরেন এক্সচেঞ্জ। এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মার্কেট। এখানে প্রতিদিন ৪ ট্রিলিয়ন (১৫০০ বিলিয়ন এ ১.৫ ট্রিলিয়ন) ডলারের অধিক লেনদেন হয়। পৃথিবীর সবগুলি শেয়ার মার্কেট মিলেও প্রতিদিন এত লেনদেন হয়না। নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের একদিনের গড় লেনদেন ৩০ বিলিয়ন ডলার। যেহেতু মার্কেটটি এত বড়, কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এমনকি রাষ্ট্রও এককভাবে সহজে একে নিয়ন্ত্রিত করতে পারেনা।
Forex ট্রেড করতে কি কি দরকার?
ইন্টারনেট কানেকশন সহ একটি কম্পিউটার ও প্রাথমিক পর্যায়ে ১ হাজার (আরও কম হলেও করা যাবে) ডলারের মত পুঁজি।
১০০০ ডলার দিয়ে শুরু করলেও লেভারেজের কারণে কেনাবেচা করা যাবে অনেক বেশী পরিমাণের। বেশীরভাগ ব্রকারই ১:২০০ (বা তার চেয়ে বেশি) লেভারেজ দেয় অর্থাৎ ১০০০ ডলার বিনিয়োগ করে ২০০,০০০ (দুলাখ) ডলার পর্যন্ত কেনাবেচা করা যাবে। মনেরাখা দরকার, লেভারেজ আপনার পক্ষে কাজ করতে পারে আবার বিপক্ষেও কাজ করতে পারে। উদাহরণঃ মনে করুণ আপনি ২ লাখ EUR/USD কিনলেন। এখন এই ট্রেড যদি পক্ষে যায়, অর্থাৎ ইউরোর দাম যদি ডলারের সাপেক্ষে বাড়তে থাকে তাহলে প্রতি পিপে আপনি ২০ ডলার করে লাভ করছেন এবং ৫০ পিপ বাড়লে আপনার ১০০০ ডলার লাভ হবে। তেমনি ৫০ পিপ যদি ইউরোর দাম কমে অর্থাৎ ট্রেড যদি আপনার বিপক্ষে যায় তাহলে একাউন্ট শূণ্য হয়ে যাবে।
এখানে আমরা তিনটি নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হয়েছি, ব্রকার, লেভারেজ ও পিপ। এগুলি আসলে কি?
ব্রকারঃ
যে কোম্পানির সাথে আপনি একাউণ্ট খুলবেন অর্থাৎ যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনি কারেন্সি মার্কেটে লেনদেন করবেন তাকে ব্রকার বলে। অনেক ব্রকার আছে যার মধ্যে থেকে আপনাকে একটিকে বেছে নিতে হবে। তবে ভাল ব্রকার বাছাই করা সহজ নয়। এ ব্যাপারে পরে ব্রকার সম্পর্কে যখন আলোচনা করবো তখন দেখবো কিভাবে ও কোন কোন বিষয় বিবেচনা করে ভাল ব্রকার বাছাই করা যায়।
লেভারেজঃ
যে পরিমাণ ডলার আছে তার চেয়ে বেশী পরিমাণের কেনা বেচার সুযোগকে লেভারেজ বলে। উদাঃ ১০০০ ডলার বিনিয়োগ করে যদি ২০০০ ডলারের ট্রেড করতে দেয় তাহলে লেভারেজ ১:২, যদি ১ লাখের ট্রেড করার সুযোগ পাওয়া যায় তাহলে লেভারেজ ১:১০০ (পড়ুন ১ এর জন্য ১০০)।
পিপঃ
কারেন্সিতে সবচেয়ে ছোট পরিবর্তনের ইউনিটের নাম পিপ। ১০০ সেন্ট (পয়সা) এ যেরকম ১ ডলার (টাকা) হয় সেরকম ১০০ পিপে ১ সেন্ট (পয়সা) হয়। এটি ক্ষুদ্র ইউনিট কিন্তু যখন কেনা বেচার পরিমাণ অনেক হয় তখন এই সামান্য পরিবর্তন ডলারের হিসেবে অনেক হয়। উদাঃ টাকায় ১ পিপ বৃদ্ধি পেলে ১ টাকায় লাভ হয় ১ পয়সার ১০০ ভাগের এক ভাগ কিন্তু ১ লটে (১ লাখ টাকায়) লাভ হয় ১০ টাকা। মনে করুণ EUR/USD 1.3050 থেকে বৃদ্ধি পেয়ে 1.3051 হল, তাহলে EUR/USD এর দাম ১ পিপ বৃদ্ধি পেল।
আজ এ পর্যন্ত । পরবর্তীতে আর বিস্তিরিত ভাবে আলোচনা করা হবে ।
চলতে থাকবে ......
আমাদের সাথেই থাকুন !!!
Forex হলো ফরেন এক্সচেঞ্জ। এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মার্কেট। এখানে প্রতিদিন ৪ ট্রিলিয়ন (১৫০০ বিলিয়ন এ ১.৫ ট্রিলিয়ন) ডলারের অধিক লেনদেন হয়। পৃথিবীর সবগুলি শেয়ার মার্কেট মিলেও প্রতিদিন এত লেনদেন হয়না। নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের একদিনের গড় লেনদেন ৩০ বিলিয়ন ডলার। যেহেতু মার্কেটটি এত বড়, কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এমনকি রাষ্ট্রও এককভাবে সহজে একে নিয়ন্ত্রিত করতে পারেনা।
Forex ট্রেড করতে কি কি দরকার?
ইন্টারনেট কানেকশন সহ একটি কম্পিউটার ও প্রাথমিক পর্যায়ে ১ হাজার (আরও কম হলেও করা যাবে) ডলারের মত পুঁজি।
১০০০ ডলার দিয়ে শুরু করলেও লেভারেজের কারণে কেনাবেচা করা যাবে অনেক বেশী পরিমাণের। বেশীরভাগ ব্রকারই ১:২০০ (বা তার চেয়ে বেশি) লেভারেজ দেয় অর্থাৎ ১০০০ ডলার বিনিয়োগ করে ২০০,০০০ (দুলাখ) ডলার পর্যন্ত কেনাবেচা করা যাবে। মনেরাখা দরকার, লেভারেজ আপনার পক্ষে কাজ করতে পারে আবার বিপক্ষেও কাজ করতে পারে। উদাহরণঃ মনে করুণ আপনি ২ লাখ EUR/USD কিনলেন। এখন এই ট্রেড যদি পক্ষে যায়, অর্থাৎ ইউরোর দাম যদি ডলারের সাপেক্ষে বাড়তে থাকে তাহলে প্রতি পিপে আপনি ২০ ডলার করে লাভ করছেন এবং ৫০ পিপ বাড়লে আপনার ১০০০ ডলার লাভ হবে। তেমনি ৫০ পিপ যদি ইউরোর দাম কমে অর্থাৎ ট্রেড যদি আপনার বিপক্ষে যায় তাহলে একাউন্ট শূণ্য হয়ে যাবে।
এখানে আমরা তিনটি নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হয়েছি, ব্রকার, লেভারেজ ও পিপ। এগুলি আসলে কি?
ব্রকারঃ
যে কোম্পানির সাথে আপনি একাউণ্ট খুলবেন অর্থাৎ যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনি কারেন্সি মার্কেটে লেনদেন করবেন তাকে ব্রকার বলে। অনেক ব্রকার আছে যার মধ্যে থেকে আপনাকে একটিকে বেছে নিতে হবে। তবে ভাল ব্রকার বাছাই করা সহজ নয়। এ ব্যাপারে পরে ব্রকার সম্পর্কে যখন আলোচনা করবো তখন দেখবো কিভাবে ও কোন কোন বিষয় বিবেচনা করে ভাল ব্রকার বাছাই করা যায়।
লেভারেজঃ
যে পরিমাণ ডলার আছে তার চেয়ে বেশী পরিমাণের কেনা বেচার সুযোগকে লেভারেজ বলে। উদাঃ ১০০০ ডলার বিনিয়োগ করে যদি ২০০০ ডলারের ট্রেড করতে দেয় তাহলে লেভারেজ ১:২, যদি ১ লাখের ট্রেড করার সুযোগ পাওয়া যায় তাহলে লেভারেজ ১:১০০ (পড়ুন ১ এর জন্য ১০০)।
পিপঃ
কারেন্সিতে সবচেয়ে ছোট পরিবর্তনের ইউনিটের নাম পিপ। ১০০ সেন্ট (পয়সা) এ যেরকম ১ ডলার (টাকা) হয় সেরকম ১০০ পিপে ১ সেন্ট (পয়সা) হয়। এটি ক্ষুদ্র ইউনিট কিন্তু যখন কেনা বেচার পরিমাণ অনেক হয় তখন এই সামান্য পরিবর্তন ডলারের হিসেবে অনেক হয়। উদাঃ টাকায় ১ পিপ বৃদ্ধি পেলে ১ টাকায় লাভ হয় ১ পয়সার ১০০ ভাগের এক ভাগ কিন্তু ১ লটে (১ লাখ টাকায়) লাভ হয় ১০ টাকা। মনে করুণ EUR/USD 1.3050 থেকে বৃদ্ধি পেয়ে 1.3051 হল, তাহলে EUR/USD এর দাম ১ পিপ বৃদ্ধি পেল।
আজ এ পর্যন্ত । পরবর্তীতে আর বিস্তিরিত ভাবে আলোচনা করা হবে ।
চলতে থাকবে ......
আমাদের সাথেই থাকুন !!!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন