আমাদের গ্রহণ করা দৈনন্দিন খাদ্যের মধ্যেই রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় রোগ প্রতিরোধ উপাদান ও পুষ্টিগুণ। তবে এসব খাবার নিয়মিত গ্রহণ করলেও আমরা জানি না কোন ধরনের খাবারে কি ধরনের খাদ্য ও পুষ্টিগুণ রয়েছে।
আটা ও ময়দার রুটি আমাদের খাদ্যতালিকার একটি নিয়মিত খাবার। শ্বেতসার জাতীয় এ খাবারের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন বি-৬ বা পাইরোডক্সিন। পাইরোডক্সিন প্লিহা ও থাইমাস গ্রন্থির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। শরীরের এই অর্গান দু’টি রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া ঘি, দুধ ও দগ্ধজাতীয় খাবারে থাকে ক্যালসিয়াম। শাকসবজি, মাছ, চীনাবাদাম ও ডালের মধ্যেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। এই ক্যালসিয়াম শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় আরেকটি খনিজ উপাদান ম্যাগনেসিয়ামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শরীরের ইমিউন বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতেও সহায়তা করে এটি।
সামুদ্রিক মাছ, মুরগি, লিভার, ডিমের কুসুম, শস্য জাতীয় খাবার, ইলিশ মাছ, মাছের তৈল ইত্যাদির মধ্যে থাকে খনিজ লবন সেলেনিয়াম। সেলেনিয়ামও শ্বেত কণিকা ও ইমিউন এনজাইমের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।